বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ জি কে গউছ বলেছেন, ''বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৪ সালের মত আরেকটি পাতানো নির্বাচন হবে না। যদি আওয়ামী লীগ করতে চায় দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে আওয়ামী লীগকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। গণআন্দোলনের মুখেই অনির্বাচিত আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত হবে, গণতন্ত্রের বিজয় হবে।''
রবিবার হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর তেমনিয়া এলাকায় বিএনপির কালো পতাকা মিছিল শেষে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে, শহরের শায়েস্তানগর তেমনিয়া থেকে মেয়র জি কে গউছের নেতৃত্বে সদর উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের একটি মিছিল বের করা হয়। কিন্তু সামনে এগুতেই পুলিশ ব্যারিকেট দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশের সাথে মেয়র জি কে গউছের বাক-বিতণ্ডা হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙে মিছিল নিয়ে বের হন মেয়র জি কে গউছ। মিছিলটি জেলা বিএনপি অফিসে গিয়ে শেষ হয়। এছাড়াও পৌরসভার মাঠ থেকে পৌর বিএনপি, আরডি হলের সামন থেকে ছাত্রদল, বিএনপির অফিসের সামনে কৃষকদল ও মহিলা দল পৃথক মিছিল বের করে। পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামণে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে মেয়র জি কে গউছ আরও বলেন, ''অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। মুক্ত করে আনতে হবে আমাদের প্রিয়নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাহিরে রাখতে চায়। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাহিরে রেখে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। এ জন্য সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে।''
তিনি বলেন, গায়েবি মামলা দিয়ে রাজপথ থেকে বিএনপিকে সরানো যাবে না। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে দেশের মানুষ ততই রাস্তায় নেমে আসবে। আজকের কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিই তার প্রমাণ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট শামছু মিয়া চৌধুরী, এডভোকেট মঞ্জুর উদ্দিন শাহিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হাজী এনামুল হক, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কাউন্সিলর আবুল হাশিম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম নানু, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল রহমান কাজল, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আউয়াল, জেলা যুবদলের সভাপতি মিয়া মো. ইলিয়াছ, সাধারণ সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম ফরিদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা জাসাসের সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা মহিলাদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, জেলা তারেক পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমান কুটি প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/২১ অক্টোবর, ২০১৮/মাহবুব