নারায়ণগঞ্জে পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মদনপুর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। রবিবার দুপুরে মদনপুরে আমির গ্রুপ ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, খলিল মেম্বারের পক্ষে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে মিছিল করছে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। মূলত মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি ও স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষ। এর আগেও একাধিকবার এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষেরই থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত খলিল মেম্বার মদনপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার নিজস্ব পল্ট্রি ফিডের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় আমির গ্রুপের আমির সোহেলসহ অর্ধ শতাধিক ক্যাডার এসে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। প্রায় সকলেই দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে খলিলের উপর হামলা করে। একই সময়ে শাহ আলম নামে এক হকার বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মাটিতে ফেলে কোপায় ক্যাডাররা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিল গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালায় ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমির গ্রুপও আবার পাল্টা হামলা করলে দুই পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
বন্দর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, গুরুত্বর আহত অবস্থায় খলিল মেম্বার ও শাহ আলমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে পুলিশ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত