লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন একটি পরিবার। সংঘর্ষের পর রক্তাক্ত হওয়া ওই পরিবারের নারী শিশুসহ ৮ সদস্য প্রতিপক্ষের বাধার মুখে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে পারেনননি। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে মামলা করলেও এর সুফল পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
আজ রবিবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন তারা। হয়রানির শিকার ওই দুই পরিবার রামগঞ্জ পৌর সভার সোনাপুর এলাকার কৃষক আব্দুল বারেক ও তার ভাই প্রবাস ফেরত জহির হোসেন।
জানা যায়, রামগঞ্জ পৌরসভার সোনাপুর এলাকার জহির ও তার ভাই বারেকদের সঙ্গে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে ১৩ নভেম্বর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে জহির ও তার ভাই আব্দুল বারেক এবং বড় ভাবি খুকি বেগম, সোমা, স্কুল ছাত্রী রিফা ও জান্নাত (জহিরের ভাতিজি ও মেয়ে), সাদেক, সামাদসহ (জহিরের ভাতিজা) একই পরিবারের ৮ জনসহ প্রতিপক্ষের নাছির ও কামাল আহত হন। এ ঘটনায় পর দিন রামগঞ্জ থানায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়।
সংঘর্ষে আহত হওয়া জহির অভিযোগ করেন, আদালতে আমাদের পক্ষে রায় দেওয়া সম্পত্তি মোহাম্মদ আলীরা দখল করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। এসময় তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাদের স্কুলে পড়ুয়া দুই মেয়েসহ আমাদের একই পরিবারের ৮ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে তারা। আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেও দেয়নি তারা। উল্টো মামলা করে তারা আমাদের হয়রানি করছে। দুই মেয়ের শিক্ষা জীবন এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ভয়ে আমরা এখন এলাকায় যেতে পারছিনা। আমরা সুবিচার চাই।
রামগঞ্জ থানার ওসি তোতা মিয়া বলেন, জমি সংক্রান্ত সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় দু’পক্ষের ৪ জন আসামি কারাগারে রয়েছে। কোন শিক্ষার্থী মামলার আসামি হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার