যশোরের শার্শায় পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে কুপিয়ে খুন করেছে দেনাদাররা। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কাজীরবেড় গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে তার বস্তাবন্ধী লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩২) বেনাপোলের নারায়নপুর গ্রামের আব্দুর জব্বার তরফদারের ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জাহিদ বিদেশ যাওয়ার জন্য ৪ লাখ টাকা দেয় ঝড়ু দালালের স্ত্রী বিউটি খাতুনকে। পরে বিদেশ না পাঠিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এ ঘটনায় সর্বশেষ বুধবার রাতে টাকা দেওয়ার কথা বলে বাসাবাড়িতে ডেকে নেয় জাহিদকে। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিউটি যশোর থেকে ৪জন ভাড়াটে কিলার এনে বাসায় সাউন্ডবক্সে গানবাজনা শুনতে থাকে। পরে জাহিদকে বাথরুমে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে লাশটি বস্তাবন্ধী করে পাশের একটি কলাবাগানে ফেলে দেয়।
খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে বিউটির বাসায় এলে জাহিদের বাড়ির লোকজনকে সে জাহিদ তাদের বাড়িতে আসেনি। সন্দেহ হওয়ায় শার্শা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়। থানা পুলিশ এসে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে তাকে খুন করা হয়েছে।
এ খুনের ঘটনায় শার্শা থানা পুলিশ জড়িত থাকার অপরাধে ৬ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হল ঝড় ও তার স্ত্রী বিউটি খাতুন (৪৭), মেয়ে সুমী খাতুন (২৯), মুক্তার আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম (৬৫), খালিদের স্ত্রী ফেরদৌসী (৩৭) ও ছেলে আল-আমিন (১৮)। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ খুনের আলামত উদ্ধার করেছে।
শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম মশিউর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি তারা ভাড়াতে কিলার দ্বারা জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এ ব্যাপারে ৬ জনকে আটক করেছি এবং অন্যান্যদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা