ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার মিলন বাজার এলাকায় বয়ে গেছে গোদারিয়া নদী। দীর্ঘদিন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। অবশেষে এই নদী পারাপারের জন্য কয়েক গ্রামের মানুষ মিলে তৈরি করেন ৩শ' ফুটের একটি বাঁশের সাঁকো। কিন্তু এটিও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আর এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই এখন তাদের ভরসা।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সাঁকো ব্যবহার করেন কুড়িয়াবাসা, ছোটবন, জিগা গাছিয়া, সানন্দখিলা, নিশ্চিন্তপুর, রহেলা, বিলডোরা, বাঘমার ও আতুয়াজঙ্গল এলাকার মানুষ। প্রতিদিন এই গ্রামগুলোর হাজারো মানুষ কৃষিকাজসহ নানা প্রয়োজনে এই সাঁকো ব্যবহার করেন।
এছাড়া কোমলমতি শিশু থেকে শুরু করে নানা বয়সের শিক্ষার্থীরা হাতে বই নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে। বেশিরভাগ অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকেন। বর্ষায় পানি বেড়ে গেলে ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় মানুষ পারাপার হয়। বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থাও নড়বড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এমন দুর্ভোগ চলে আসলেও এ ব্যাপারে কারো কোন মাথা ব্যাথা নেই। সেতুর অভাবে হারাচ্ছেন শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য। এলাকাবাসীর দাবি সেতুটি নির্মিত হলে ঐ এলাকার মানুষের জীবন যাত্রা পাল্টে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও উন্নত হবে।
দুর্ভোগের বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী জমশেদ আলী জানান, 'মেলাদিন (অনেকদিন) ধইরা সাহুঢা (সাঁকো) এইভাবে পইরা রয়ছে। মাইনষের কাছ থাইক্যা ট্যাহা তুইল্যা কয়দিন পর পর ঠিক করণ লাগে। কি করতাম বাপুরে, আইন্নেরা তো লেহালেহি করুইন। একটা ব্রিজ যাতে হয় এইভাবে লেহুইন যে।'
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অনেক আগেই তালিকা প্রেরণ করেছি। ব্রিজটি হলে এলাকার লোকজন সুফল ভোগ করত। আমি যথা সম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
উপজেলা উপ-সহাকারী প্রকৌশলী আব্দুর রহমান মিঞা বলেন, ব্রিজটির বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পক্ষের কাছে কোন তালিকা পাঠানো হয়নি। সাঁকোটি পরিদর্শন করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল