মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মুজিবনগরকে একটি আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঁচ’শ কোটি টাকা নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থ মন্ত্রণালয়কে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে মুজিবনগরে দর্শণার্থীরা এসে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। মুজিবনগরকে স্বাধীনতার তীর্থভূমি হিসেব গড়ে তোলা হবে।
বুধবার দুপুরে মেহেরপুর মুজিবনগর কমপ্লেক্সের পর্যটন মোটেলে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণে নতুন প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা চূড়ান্ত অনুমোদনের সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, বিদেশি পর্যটকরা যাতে মুজিবনগরের আম্রকাননের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে সব ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
এসময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম আরিফুর রহমান, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজি গোলাম নাসির, উপ-প্রধান স্থপতি আসিফুর রহমান ভূঁইয়া, গণপুর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাত হোসেন, গণপূর্ত যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মানিক লাল দাস, জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর গণপূর্ত’র নির্বাহী প্রকৌশলী মুক্তার হোসেন দেওয়ান, মেহেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আছাদুজ্জামানসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে মুজিবনগর কমপ্লেক্সের বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন মন্ত্রীসহ অন্যান্য আগত অতিথিবৃন্দ।
সভায় জেলা প্রশাসক মো. আতাউল গণি বলেছেন, মেহেরপুরের দুটি প্রবেশ পথ। প্রবেশ পথের শুরুতে চুয়াডাঙ্গা সড়কে এবং কুষ্টিয়া সড়কে বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল স্থাপনের দাবি জানান। পর্যটকরা মেহেরপুরে প্রবেশ করেই মুর্যাল দেখে যাতে বুঝতে পারে তারা মুক্তিযুদ্ধের তীর্থ ভূমিতে প্রবেশ করলেন।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ নেয়া মুজিবনগর আম্রকাননকে মূল্যায়ন করার লিখিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন