বিলের জমিতে পাইপ বসিয়ে কীটনাশকযুক্ত ময়লা পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করিয়ে দূষিত করার অভিযোগে অভিযান চালায় নাটোর জেলা প্রশাসন। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. রাজ্জাকুল ইসলামের নেতৃত্বে দু’জন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে এ অভিযান শুরু হয়।
অভিযানে শহরতলীর বড়ভিটা বিল এবং মল্লিক হাটি বিলের অন্তত ৪টি হাউস বোরিং পাইপগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় স্থানীয় কৃষকদের সতর্ক করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া সদর উপজেলার চক আমহাটি এলাকার লইকান্দির বিলে অভিযান চালিয়ে ৩টি হাউস বোরিং পাইপের ভেতর মাটি, বাঁশ ঢুকিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়। যাতে করে পুনরায় ময়লা, কীটনাশক এবং নোংরা পানি ভূগর্ভে প্রবেশ করাতে না পারে কৃষকরা।
এসময় লইকান্দি বিলের জমির মালিক আব্দুর রউফ এর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক ড. রাজ্জাকুল ইসলাম।
অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আলম, নেজারত ডেপুটি কালেকক্টরেট অনিন্দ মন্ডলসহ পুলিশ প্রশাসন এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
নাটোরের বিভিন্ন বিলের জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচার জন্য কৃষকরা বিলের ময়লা এবং কীটনাশকযুক্ত পানি পাইপের মাধ্যমে মাটির নিচে ঢুকিয়ে দিয়ে আসছিল। এনিয়ে গণমাধ্যমে বিশেষ প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মারাত্মক এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে অভিযানে নামে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. রাজ্জাকুল ইসলাম বলেন, কৃষকরা জলাবদ্ধতা থেকে বাঁচার জন্য যে পদ্ধতি অবলম্বন করেছে, তা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরনের পদ্ধতিতে যাতে কৃষকরা ভূগর্ভে পানি প্রবেশ করিয়ে দূষিত করতে না পারে সেজন্য জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন