বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজার এলাকায় টহল পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে নান্নু মিয়া নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করার মামলায় চরমপন্থী দলের ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার বিকেলে দিকে শেরপুর থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সিরাগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার দামুয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪০), সারাইল গ্রামের বানাত আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন (৪৫) ও ইউসুফ আলী (৩৭), নাঈম উদ্দিনের ছেলে মজিবর রহমান (৪৫), খিয়াইল গ্রামের প্রফুল্ল দাসের ছেলে দিলিপ চন্দ্র দাস (৪৫), তাড়াশ উপজেলার গুড়পিঁপুল গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে আল-আমিন (২৮), খলিলুর রহমানের ছেলে শামীম হোসেন (২৮), হাসান আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ (২৭), নবাব আলীর ছেলে কামাল উদ্দিন (৫৫), ও হাড়ীসোনা গ্রামের মেহের আলী আকন্দের ছেলে আবু সাঈদ (৬৫)।
শেরপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল রাতে শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর বাজার এলাকায় পোস্টারিং করছিল সর্বহারারা। শেরপুর থানার একটি টহল দল টের পেয়ে সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা গুলিবর্ষণ করে। ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে এএসআই নান্নু মিয়া (৪২) আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে চরমপন্থীদের লাগানো কিছু পোস্টার এবং ‘গণযুদ্ধ’ নামে একটি পত্রিকা উদ্ধার করা হয়। পরে গুলিবিদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তা নান্নু মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে তার একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। এ ঘটনায় শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চরমপন্থী দলের সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার