পিরোজপুরে সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেওয়ার পর সকাল থেকে পিরোজপুরে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এছাড়া আগের তুলনায় নদীতে পানির উচ্চতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয় ক্ষতি মোকাবেলায় সর্বচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির পরিমান যাতে কমানো যায় এজন্য জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে জরুরি দুইটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া ৬৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি জেলার ৭টি উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৯৩টি সাইক্লোন শেল্টার।
এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী সময় মোকাবেলার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ২০০ টন চাল, ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫ লক্ষ টাকা বরাদ্ধ পেয়েছে জেলা প্রশাসন। জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য তথ্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে বলেও সভা থেকে জানানো হয়।
এছাড়া পিরোজপুর পৌরসভায় পক্ষ থেকে ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে পৌর এলাকায়। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ফণীর খবর পাওয়ার পর থেকেই সাগর থেকে ফিরে এসেছে অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার। তবে এখনও কিছু কিছু ট্রলার ফিরে না আসায় আতঙ্কে রয়েছে ট্রলার মালিকরা।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় পিরোজপুর জেলায় সকল সাইক্লোন সেল্টার গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে প্রস্তুত সহ আশ্রয় স্থলে জনগণকে আনার সব ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন