ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কায় উপকূলের লাখ লাখ মানুষ। বিরাজ করছে এক ধরনের উৎকন্ঠা। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে দমকা বাতাস বইছে। সেই সঙ্গে দুই দফা হাল্কা বৃষ্টিপাত হয়েছে। পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে গভীর সমুদ্র থেকে মাছ ধরার ট্রলারগুলো নিরাপদে আসতে শুরু করেছে।
সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুমট পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকিং করে বেড়ি বাধের বাইরে থাকা লোকজনকে নিরাপাদে যেতে বলা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জনা গেছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরী সভা করেছেন।
কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো.আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, গভীর সমুদ্র থেকে সকল মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে এসেছে। বর্তমানে সাগর উত্তাল আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভির রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার