বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশ উপকূল ভাগে আঘাত হানলে মৃত্যুর মুখে পড়বে সুন্দরবনের রয়েল-বেঙ্গল-টাইগার, চিত্রল-মায়া হরিণসহ অসংখ বন্যপ্রাণী।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরে লন্ডভন্ড হয়ে যায় সুন্দরবনে একটি বিরাট অংশ। ঝড়-জলোচ্ছাসে মারা যায় একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার, অসংখ হরিণসহ অনেক বন্যপ্রাণী। আবহাওয়া বিভাগ এবারও প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ের সাথে জলোচ্ছাসে পূর্বাভাস দেয়ায় সুন্দরবনের অসংখ বন্যপ্রাণী মারা যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সুন্দরবন নিয়ে নিরান্তর গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে বুকে আগলে ধরে প্রতিবারই সুন্দরবন আমাদের বাঁচিয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সুন্দরবনের কারণে সন্নিহিত লোকালয়ের মানুষের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হলেও এই ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ বনের প্রাণপ্রকৃতি রক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেই। সুন্দরবনের মধ্যে অর্ধশত উচুমাটির টিলা তৈরি করা হলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার-চিত্রল হরিণসহ শত-শত বন্যপ্রাণীতে রক্ষা করা সম্ভব হতো। আমরা সুন্দরবনে উচু মাটির টিলা তৈরি দাবি জানিয়ে আসলেও বনবিভাগ আজও তা করেনি। সে কারণে এবারের ঝড় ও জলোচ্ছাসে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণীর সব থেকে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ঝড় ও জলোচ্ছাসে সুন্দরবনের বড় ধরনের ক্ষতি না হলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, চিত্রল-মায়া হরিণসহ ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণীকূলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলে আশা রাখি। তবে সুন্দরবন লন্ডভন্ড হয়ে গেলে বন্যপ্রাণীর ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার