কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে গত এপ্রিল মাসে ২ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১৫) এর সদস্যরা। এসব অভিযানে জড়িত ৭ রোহিঙ্গসহ ১৭ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক এবং ১০টি মামলা রুজু করেছে র্যাব-১৫।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেনান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগানকে সামনে রেখে মাদক নির্মূল করতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত এপ্রিল মাসে টেকনাফ র্যাব-১৫ সদস্যরা নৌ-স্থলপথসহ বিভিন্ন এলাকা ও অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ২ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ পিস উদ্ধার করেছে। এছাড়া একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, ৩টি বুলেট, ৪৩ হাজার লিটার মদ, একটি বাস ও ইয়াবা বিক্রির সাড়ে ২৫ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করেছে।
এ সময় ১৭ মাদক ব্যববসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন রোহিঙ্গা রয়েছে। এ ঘটনায় ১০টি মামলা রুজু করা হয়েছে। আটক রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নেয়। সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল টেকনাফ পৌরসভার ইসলামবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ পিস ইয়াবাসহ পৌরসভার ইসলামাবাস (ধুমপ্রাংবিল) এলাকার ছলিমুল্লাহর স্ত্রী
সাবেকুন নাহার (২৫) নামে এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব।
এ ব্যাপারে র্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্পের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট মির্জা শাহেদ মাহাতাব জানান, ‘এপ্রিল মাসে আড়াই লাখের বেশি ইয়াবাসহ ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে বেশির ভাগই মাদক ব্যবসায়ী ছিল।
তিনি আরও জানান, সীমান্তে মাদক নির্মূল করতে র্যাব সদস্যরা জীবন বাজি রেখে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। পাশাপাশি মাদক বন্ধ করতে রোহিঙ্গা শিবির ও সীমান্তে র্যাবের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ