ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক হল রুমে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণী বাংলাদেশে শুক্রবার মধ্যরাত বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার আংশকা রয়েছে। সাতক্ষীরা আওহাওয়া অধিদপ্তর এলাকায় ০৭নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে স্বাভাবিক জেয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ইতোমধ্যে প্রায় ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে।
উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, জেলার ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে এছাড়াও সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্মুক্ত হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, ইতোমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ফোন নম্বর ০৪৭১৬৩২৮১।
সভায় জানানো হয়, জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩২শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ টন চাল, ১১ লাখ সহ ৩২০০ প্যাকেট শুকনা খাবার মজুর করে এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. আফমরুহুল হক, জেলা পুলিশ সুপার মো. সাজ্জাদুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি আবু আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপ্পী, জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ প্রত্যক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন