ভারতের পশ্চিমবঙ্গ শেষে বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। তবে যতই সময় গড়াচ্ছে ততই দুর্বল হচ্ছে ফণীর দাপুট।
ফণীর প্রভাবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত রংপুরে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। সাথে বাতাসে বেগও ছিল। ভোরের আলো ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে কালো মেঘ দেখা গেছে। ঘণ্টায় ২০-২৫ কিলোমিটার বেগে বাতাসও বইছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর মোকাবিলায় রংপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী বেষ্টিত এলাকাগুলোতে সতর্কতা মূলক মাইকিং করা হয়। শেল্টার সেন্টার হিসেবে ব্যবহারে প্রস্তুত রাখা হয় বিভিন্ন উপজেলার স্কুল-কলেজ ও আশ্রয়কেন্দ্রসমূহ।
রংপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন মিয়া বলেন, 'রংপুরে নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে বসবাসকারীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে। প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়নে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেডক্রিসেন্ট ও উদ্ধারকারী দল।'
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ইতোমধ্যে ৩০৯ মেট্রিক টন চাল, ১২০ বান্ডিল টিন, নগদ টাকাসহ শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ