মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌপথে স্পিডবোট উল্টে নিখোঁজের ঘটনায় তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে নিখোঁজ দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
তারা হলেন- বরিশালের বানড়িপাড়া এলাকার রহমান খন্দকারের ছেলে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র মিারজ হোসেন (২০) এবং শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া খাড়াকান্দি এলাকার ইমরান ফরাজীর ছেলে আমির হামজা (০৬)।
এর আগে শুক্রবার সকালে স্পিডবোট উল্টে নিহত হওয়া মুরাদ শেখ (২৫) এর লাশ উদ্ধার করা হয়। সে জামালপুর সদর উপজেলার রানাগাছা ইউনিয়নের পলাশতলা এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে। মুরাদ রাজধানীর ভাটারা এলাকায় রঙের কাজ করতো। তিনি তার শ্বশুর বাড়ি শিবচরে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনার পরেই ঘাট থেকে ৯ জন স্পিডবোট চালকে আটক করে শিবচর থানা পুলিশ।
আটকদের শনিবার মাদারীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। স্পিডবোটের মালিক আলমগীর সরদার পলাতক রয়েছে।
কাঁঠালবাড়ি ঘাট সূত্র ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে আলমগীর সরদারের একটি স্পিডবোট ২০ জন যাত্রী নিয়ে কাঁঠালবাড়ি ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। কাঁঠালবাড়ি স্পিডবোট ঘাটের ৪ নম্বর ঘাটের কাছাকাছি এসে পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি ট্রলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্পিডবোটটি উল্টে গিয়ে যাত্রীরা পদ্মার পানিতে তলিয়ে যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ থাকে দু'জন। উদ্ধার হওয়া ৬ জনের অবস্থা গুরুতর থাকায় তাদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মুরাদকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটানায় নিখোঁজ থাকে দু'জন। শনিবার সকালে আরও দুই জনের লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করেছে শিবচর থানা পুলিশ। এ নিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার হলো।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, পদ্মা নদীতে স্পিডবোট উল্টে যাওয়ার ঘটনায় দু'জন যাত্রী নিখোঁজ ছিল। শনিবার সকালে নিখোঁজ দুই যাত্রীর লাশ কাঁঠালবাড়ি ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে তিনজনের লাশ উদ্ধার হলো। স্পিডবোটের মালিক আলমগীর সরদারকে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আটক ৯ জন স্পিডবোট চালকে শনিবার মাদারীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/০৪ মে ২০১৯/হিমেল/আরাফাত