ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে শুরু হয়েছে পাহাড়ে বৃষ্টিপাত। সারাদিন হালকা, মাঝাড়ি ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এমন অবস্থা আরো দুই দিন বিরাজ করতে পারে বলে ধারণা আবহাওয়াবিদের। তাই বিশেষ সতর্কতা বার্তা জাড়ি করেছে রাঙামটি জেলা প্রশাসন।
এদিকে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে করা হচ্ছে মাইকিং ।
রাঙামাটি জেলা আবহাওয়া কর্মকর্তা কাজী হুমায়ূন রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে রাঙামাটিতে ১১মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির ধরণ ছিল হালকা ও মাঝারি। সাথে ঝড়ো বৃষ্টি ও দমকা হওয়া বইছিল। এমন অবস্থা রবিবার পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে বিকাল নাগাত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে।
অন্যদিকে বৃষ্টি দেখে রাঙামাটি শহরের ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র।
জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন, বৃষ্টিপাত হলে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দেয়। তাই আগে থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে একটি প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। এমনিতে ঝুকিপূর্ণ এলাকাগুলো আগে থেকে চিহ্নিত করা ছিল। সেখানে অবস্থানরত মানুষগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকায় এলাকায় মাকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বার বার বলা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে এখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবুও আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন সংগঠনের সেচ্ছা সেবক, ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮ সালে রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের প্রাণহানির ঘটনার পর বৃষ্টি দেখলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয় স্থানীয়দের মধ্যে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন