কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী অবৈধ দখল, ভরাট ও দূষণের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার কমিশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাস খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, কক্সবাজারের প্রধান নদী বাঁকখালী। পর্যটন নগরীর ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক ভূমিকা রেখে আসছে এ নদী। দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখল, ভরাট ও দূষণের কারণে অস্তিত্ব সংকটে বাঁকখালী। নদীর এ দূরাবস্থা দেখতে বুধবার বাকখালী নদী পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাসের নেতৃত্বে একটি দল এ পরিদর্শন করে।
পরিদর্শন শেষে সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাস বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাঁকখালী নদী দখল ও দূষণের বিষয়টি দুদকের নজরে আসার পর সরেজমিন পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবারের পরিদর্শন।
দুদকের এ কর্মকর্তা বলেন, পরিদর্শনে বাকখালী নদী দখল ও দূষণের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিশেষ করে পৌরসভার পক্ষ থেকে বর্জ্য ফেলার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দায়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাঁকখালী নদীর দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে অবৈধ দখলদারদের বিভিন্ন স্থাপনা। কক্সবাজার জেলার প্রধান নদী হওয়ায় বাঁকখালীর ওপর অন্তত সাত লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। অথচ জনগুরুত্বপূর্ণ এ নদী অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলছে প্রভাবশালীরা। আবার অনেকেই নদী ভরাট করে আবাসন প্লট তৈরি করে বিক্রিও করছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক