ফরিদপুরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের প্রধানসহ ৫ সদস্যকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ১০৬ পিস ইয়াবা, ১০টি মোবাইল ফোন ও ৪১টি বিভিন্ন কোম্পানির সিম জব্দ করা হয়।
সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন এলাকার একটি চক্র মোবাইল ফোনে বিকাশ, নগদসহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাকিং সেবার ভুয়া কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সেজে প্রতারণা করে শত শত মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এছাড়া এ চক্রটি বিভিন্ন পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে মানুষকে ফাঁদে ফেলে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিতো। তাছাড়া অনলাইনে জুয়ার কথা বলেও তারা টাকা হাতিয়ে নিতো।
প্রাপ্ত এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুরের সেনা ক্যাম্পের একটি দল পুলিশের সহায়তা নিয়ে ডুমাইন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা অভিযানে চক্রের মূলহোতা কামরুল মিয়াকে আটক করা হয়।
তার ভাষ্যমতে, সহযোগী হিসেবে আটক করা হয় অমরেশ বিশ্বাস, সোহান মালিক, হাফিজুর রহমান ও শেখ সাকিলকে। আটককৃতরা মোবাইল ফোনে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে। আটককৃতদের মধুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সেনা ক্যাম্প সূত্র জানায়, আটককৃতরা ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁদ ফেলে মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। প্রতারক চক্র গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট, পিন, পাসওয়ার্ড ও ওটিপি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধভাবে অর্থ সরিয়ে নিচ্ছিল। আর প্রতারিত করে পাওয়া এসব অর্থের একটি অংশ দেশে সক্রিয় অনলাইন জুয়া ও বেটিং সাইডে প্রবেশ করানো হতো।
এই চক্রটি বিশেষ সফটওয়্যার ও স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করে অনৈতিকভাবে শতভাগ জয় নিশ্চিত করে জুয়ার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতো। এরপর ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে সংগৃহীত অর্থের বড় একটি অংশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আবর আমিরাতের প্রবাসী বাংলাদেশি দ্বারা তৈরি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাচার করতো। অবশিষ্ট অর্থ চক্রের সদস্যরা স্থানীয়ভাবে ভাগ করে নিতো।
বিডি প্রতিদিন/এমআই