বরিশালের উজিরপুরের স্কুলছাত্র ইস্রাফিল হাওলাদার নয়নের হত্যাকারীদেরর গ্রেফতারের দাবিতে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল সোয়া ১০টায় ওই উপজেলার জয়শ্রী বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন শেষে তারা সড়ক অবরোধ করে। এতে ওই মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এক ঘণ্টারও বেশী সময় ধরে মহাসড়কের ওই স্থানে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। পরে উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পালের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধরা। এরপর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মানববন্ধনকারীরা জানায়, গত ২৭ এপ্রিল উজিরপুরের ভরসাকাঠী গ্রাম থেকে ওই গ্রামের বাসিন্দা সোবাহান হাওলাদারের ছেলে স্কুলছাত্র নয়নকে অপহরণ করে অজ্ঞাত দুস্কৃতকারীরা। ওই রাতেই অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন ২৮ এপ্রিল পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলার রমজানকাঠী সংলগ্ন সুগন্ধ নদী থেকে নয়নের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের বাবা সোবাহান হাওলাদার অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় সন্দেহভাজন ভরসাকাঠী গ্রামের আতিক এবং মুমিন নামে ২ জনকে আটক করে। পরে আতিককে ওই মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।
মুমিন অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্যের ছেলে হওয়ায় প্রভাবিত হয়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ঈদের ২ দিন আগে গত ৩ জুন অভিযুক্ত মুমিনের বাবাসহ তার সহযোগীরা সোবাহানকে অপহরণ করে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ৩ লাখ টাকায় সমঝোতার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সোবাহান রাজী না হওয়ায় তাকে বেদম মারধর করে তারা। এতে তার পা ভেঙ্গে যায়। এ ঘটনায় পুলিশকে অভিযোগ করার পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
তাই এই মামলার অভিযুক্ত আসামিদের সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবিতে এই মানববন্ধন এবং মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা।
উজিরপুর থানার ওসি শিশির কুমার পাল জানান, নয়ন হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে বাবুগঞ্জ থানায়। তিনি বাবুগঞ্জ থানার ওসির সাথে কথা বলে নয়ন হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল