বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ভিজিএফের প্রায় ১০ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ভিজিএফ তালিকাভুক্ত ৮৪ জন হতদরিদ্র ব্যক্তি চাল না পেয়ে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির আওতায় সরকারিভাবে উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নে ২৫ দশমিক ৭২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রত্যেক গরিব ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ১৫ কেজি করে চাল প্রদানের বিধান রয়েছে।
সেই হিসেব অনুযায়ী ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বররা হতদরিদ্র এক হাজার ৭১৫ জনের নাম ভিজিএফ তালিকাভুক্ত করেন। গত ৩০ মে উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে ২৫ দশমিক ৭২৫ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করেন ইউপি চেয়ারম্যান। সেই চাল ৩ জুন গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে তালিকাভুক্ত গরিবের মাঝে বিতরণ করা হয়।
ভিজিএফের চাল বঞ্চিত অভিযোগকারীরা হলো, মহিশুরা গ্রামের মোলা বক্স, শফিকুল, স্বপ্না খাতুন, চরখুকশিয়ার আজিবর, চাইনা, মালেকা, আছিয়া, রান্ডিলার শেফালী, শান্তি, মল্লিকা, মমতা, কুলছুম, মোহাম্মাদপুরের কমলা, বক্কার আলী, আলেয়া, বাঁশপাতার হামিদা, গজিয়াবাড়ির চম্পা, লাইলী বেগমসহ বিভিন্ন গ্রামের ৮৪ জন।
এ বিষয়ে গোপালনগর ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার বলেন, তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের ভিজিএফর চাল ওজনে কম দেওয়া হয়নি। এবার তালিকাভুক্ত এক জনের নামের স্লিপ অন্যজন এনে কৌশলে চাল উত্তোলন করে নিয়েছে। এ কারণে দুই একজন চাল নাও পেতে পারেন। এলাকার কতিপয় ব্যক্তি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাত ও কম দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল আত্মসাতের অভিযোগটি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার