ভালুকায় একটি বাজারে ব্যবসায়ী ও পাহারাদরসহ তিন জনকে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে ছয়টি দোকানে লুটপাট চালিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার চাঁনপুর বাজারে। এ সময় ডাকাতদল নগদ অর্থসহ প্রায় কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাতে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল ওই বাজারের টেইলারিং ব্যবসায়ি আব্দুল জলিলকে পাহারারত অবস্থায় তার দোকানের সামনে থেকে ধরে হাত ও পা বেঁধে ফেলে। পরে ব্যবসায়ী মাসুদুর রহমান সোহাগ (৩০), উসমান (২৭) ও মিজানুর রহমানকে (৩৫) ধরে দা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারত্মকভাবে আহত করে একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালামের ফিড ও মেডিসিনের দোকান থেকে তিন লাখ ৫৬ হাজার টাকা, আছমত আলীর ফ্রেন্ডস পোল্ট্রি এন্ড মেডিসিনের দোকান থেকে নগদ ৯৩ হাজার ৩৩০ টাকা, আবুল হাসানের মনোহারী দোকান থেকে নগদ দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা, আব্দুর রহিমের মনোহারী দোকান থেকে নগদ ১০ হাজার টাকাসহ মালামাল, আব্দুল আলীর ফার্মেসী থেকৈ নগদ ২০ হাজার টাকা ও আশ্রব আলীর মনোহারী দোকান থেকে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাদল চলে যাওয়ার পর খোঁজ পেয়ে স্থাণীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ভালুকা ৫০ শয্যা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে প্রতি রাতেই পাঁচজন করে পালাক্রমে পাহারা দিয়ে থাকেন। ঘটনার রাতে ১৪/১৫ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাতদল তাদেরকে বেঁধে রেখে ও দা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে নগদ টাকা ও মালামাল মাইক্রোতে ভরে ভালুকার দিকে চলে যায়।
খবর পেয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এসএম নেওয়াজী, ভালুকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, এ রকম অভিযোগের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষসহ আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার