ঠাকুরগাঁওয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে ২ শিশু সন্তানকে বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগে নিজে বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টাকারী মা নুরবানু আক্তারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়াও বিষ প্রয়োগের মৃত ২ শিশুর ময়নাতদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেশপুর বারঘরিয়া গ্রামের সেলিম ওরফে চিলিমের স্ত্রী নুরবানু শ্বাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়ার জের ধরে চাচাত শ্বাশুড়ি ফতে ও অন্যন্যদের দ্বারা নির্যাতিত হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে শালিসের আয়োজন করা হয়। শালিসে তাকে অবদস্ত করা হতে পারে ভেবে বৃহস্পতিবার সকালে দোকান থেকে কীটনাশক বিষ কিনে প্রথমে ২ সন্তানের মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে নিজেও বিষপানে আত্বহত্যার চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে কোলের শিশু সন্তান নুরুজ্জামান (১৮ মাস) মেয়ে সন্তান সাম্মী আকতার (৬) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
শুক্রবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় ২ সন্তানকে বিষ প্রয়োগে হত্যা ও আত্বহত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী নুরবানুকে আসামী করে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মা নুরবানু এখনো ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে তাকে পুলিশি নজর দারিতে রাখা হয়েছে।
রুহিয়া থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় বলেন, নিজের ২ সন্তানকে বিষ দিয়ে হত্যা এবং নিজেও বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগে গৃহবধূ নুরবানু আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সে হাসপাতালে পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, নুরবানুর স্বামী সেলিমের পৈত্রিক ভিটামাটি দখলের চেষ্টা করে আসছিল চাচা শ্বশুর মমতাজুল, আইয়ুব ও ফজলূ। এ নিয়ে স্বামীর ভিটামাটি বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে চাচাত শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি নুরিনা ও জোসনা,ফতে কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ