সীমান্ত শহর টেকনাফে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বিজিবি এবং মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বর্ডারগার্ড পুলিশের মধ্যে রিজিয়ন পর্যায়ের এক সৌজন্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত (সাড়ে ৭ ঘণ্টাব্যাপী) টেকনাফ সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন সেন্ট্রাল রির্সোর্টের সম্মেলন কক্ষে দুদেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বিজিবির কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান বলেন, উভয় দেশের মধ্যে সু-সম্পর্ক বজায় রাখা, ইয়াবাসহ সব ধরনের মাদক, নাফ নদীতে যৌথ টহল, চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ। এছাড়া দুদেশের সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, এসব বিষয় নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবা পাচার ঠেকাতে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হলে, মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেদেশে তারা ইয়াবাবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানায়।
বিজিবির এ কর্মকর্তা আরও জানান, সেদেশে বিদ্রোহী গোষ্ঠী ইয়াবা পাচারে জড়িত, তাই মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিজিবি প্রতিনিধিদলের প্রধান আরও বলেন, বৈঠকে সীমান্তে গুলি বর্ষণের বিষয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতাসহ সন্ত্রাসী গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধে এক সঙ্গে কাজ করবেন বলে সম্মত হয়েছেন।
এর আগে বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিং টুই এর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল সকাল সাড়ে ৯টায় টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট ঘাটে এসে পৌঁছায়। সেখানে থেকে গাড়ি যোগে সেন্ট্রাল রির্সোট সম্মেলন কক্ষের বৈঠকে যোগ দেয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ বিজিবির পক্ষে কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের মধ্যে ছিলেন ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল মুরাদ জামান, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মনজুরুল হাসান খান, কমান্ডিং অফিসার লে. কমান্ডার আসাদুজ্জামান, লে. কমান্ডার আলী হায়দার আজাদ আহমেদ, লে. কর্নেল সরকার মুস্তাফিজুর রহমান, লে. কর্নেল তাজুল ইসলাম, লে.কর্নেল জাহিদুর রহমান, ২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান ও অতিরিক্ত পরিচালক মেজর রবায়াৎ কবির।
বিডি প্রতিদিন/কালাম
