১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:৪২

পরীক্ষার হলে ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন অধ্যক্ষ!

অনলাইন ডেস্ক

পরীক্ষার হলে ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন অধ্যক্ষ!

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় বুধবার কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরীক্ষা না দিয়ে ছাত্ররা হল থেকে বেরিয়ে গেলে পরবর্তীতে শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ছাত্ররা আবার পরীক্ষা দেয়।

এ ব্যাপারে কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন শিকদার, মাহামুদুল হাসান, রমজান ফকির, ইয়াসিন খান, রহমত শেখ, রিপন, ইয়াসিন শেখ জানায়, বুধবার তাদের বাংলা পরীক্ষা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে অধ্যক্ষ মোঃ বাকের হোসাইন কাঁচি দিয়ে ২০ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর ছাত্ররা পরীক্ষা না দিয়ে হল থেকে বেরিয়ে যায়। পরবর্তীতে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যস্থাতয় ছাত্ররা তাদের পরীক্ষা শেষ করে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ছাত্র জানায়, বাংলা পরীক্ষার ১ম ঘণ্টা পড়ার পর হঠাৎ করে হুজুর আমাদের হলে ঢুকে সব ছাত্রের চুল কেটে দেয়। এ ঘটনার পর আমরা পরীক্ষায় না দিয়ে বেরিয়ে আসার পরে আমাদেরকে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দেয়া হয়। এর পরে আমরা পরীক্ষা অংশগ্রহণ করি।

এ বিষয়ে কুশলা নেছারিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ বাকের হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সকল ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে তাদের চুল কেটে দিয়েছি। আমি তাদেরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকা ও নীতি নৈতিকতা শিক্ষা দেওয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে ফরম পূরণ করতে দিবোনা এ কথা বলিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তা হলে বিধি মোতাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর