১৮ অক্টোবর, ২০১৯ ২০:০৮

তারাগঞ্জে অপহরণের পর স্কুলছাত্রীকে ভারতে পাচার, আটক ১

রংপুর প্রতিনিধি

তারাগঞ্জে অপহরণের পর স্কুলছাত্রীকে ভারতে পাচার, আটক ১

রংপুরের তারাগঞ্জে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ভারতে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় মামলা করার পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও ছাত্রীকে এখনো দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।

ছাত্রীর পরিবার ও থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ওই ছাত্রীকে রাব্বি হোসেন (২০) নামের এক যুবক ঢাকায় নিয়ে যান। তারাগঞ্জের দোহাজারী গ্রামের মানিক হোসেন এ কাজে তাকে সহযোগিত করেন। পরে চার মাস ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে রাখার পর ওই ছাত্রীকে কৌশলে ভারতে পাচার করেন তারা।

ওই ছাত্রী ভারত থেকে গত ২ মে তার বাবাকে মুঠোফোনে বিস্তারিত ঘটনা জানায়। সে জানায়, ভারতের পুলিশের হাতে সে ধরা পড়লে পুলিশ তাকে সেখানকার হরিয়ানা রাজ্যের পানিপথে একটি সেফ হোমে রেখেছে। সেখান থেকেই ফোন করেছে সে। 

এরপর ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে মানব পাচার আইনে রাব্বি হোসেন, মানিক হোসেনসহ পাঁচজনকে আসমি করে ১৯ জুন তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেন। তারাগঞ্জ থানার পুলিশ বিষয়টি নিয়ে ভারতের পুলিশেল সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েকবার কথাও বলেছে। 

ওই ছাত্রী ভারতে একটি সেফ হোমে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২০ জুন তারাগঞ্জের স্থানীয় একটি বাজার থেকে মানিক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। 

মামলা করার প্রায় পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ওই ছাত্রীকে দেশে ফেরত আনা যায়নি। ওই ছাত্রীকে ফেরত পেতে তার মা-বাবা সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

শুক্রবার ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার বাবার সঙ্গে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছাত্রীর বাবা বলেন, হামার গরিবের কথা কায়ও শোনেছে না। মোর ছাওয়াটাক দেশোত আনির জন্যে থানাত যেয়া পাঁচ মাস আগোত মামলা দিছুন। কিন্তু তাও ছওয়াটাক কায়ও আনি দেওছে না। 

তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী বলেন, ছাত্রীকে দেশে ফেরত আনর জন্য স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রলণালয়ে যোগাযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর