নাটোরের বাগাতিপাড়ায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল আরজিনা খাতুন নামের এক স্কুলছাত্রী।
আর মামার বাড়ি থেকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় কনের মাকে অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার বিকালে উপজেলার গয়লার ঘোপ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরজিনা খাতুন উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের বেগুনিয়া গ্রামের আনসার আলীর মেয়ে। সে চকগোয়াশ-বেগুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাবা-মা আরজিনার বিয়ে পার্শ্ববর্তী রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী এলাকায় ঠিক করেন। সে মোতাবেক কনের মা লাভলী বেগম কনের মামা খাইরুল ইসলামের বাড়ি গয়লার ঘোপে বুধবার বিয়ের আয়োজন করেন।
বিষয়টি জানতে পেরে ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও বরের লোকজন বিয়েবাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এসময় বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও।
এছাড়া, গোপনে মামার বাড়িতে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পালের ভ্রাম্যমাণ আদালত কনের মাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
ইউএনও প্রিয়াংকা দেবী পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম