চলন্ত ট্রেনে জন্ম দেওয়া সেই নবজাতক ও মা ভালো আছেন। ৯৯৯ এ ফোন করে অসুস্থ প্রসূতি নবিয়া খাতুনকে (২৮) উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার পর এখন সুস্থ রয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন নিবির পরিচর্যা চলছে। তবে ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের মো: ছকমল ও তার সন্তান সম্ভবা স্ত্রী নবিয়া খাতুন (২৮) ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার সময় বগুড়া রেলওয়ে এলাকায় ট্রেনের মধ্যে সন্তান প্রসব করেন নবিয়া। সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টায় ট্রেনের যাত্রীরা অসুস্থ দেখে প্রসূতি নবিয়া, তার স্বামী ছকমল ও নবজাতককে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে তাদের নামিয়ে দেন। প্রসূতি অসুস্থ হওয়ায় পুত্র সন্তান কোলে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে ছকমল। এসময় সাগর মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনাটি বলেন। খবর পেয়ে দ্রুত সেবা প্রদান করতে ৯৯৯ থেকে বগুড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন দেয়া হয়। ফোন পেয়ে অতি দ্রুত বগুড়া ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা অসুস্থ মা ও পুত্র সন্তানকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি বিভাগে ভর্তি করে দেয়।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহ পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, বগুড়ার কাছাকাছি চলন্ত ট্রেনে নবিয়া পুত্র সন্তান প্রসব করে। প্রসবের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন নবিয়া। ট্রেনের যাত্রীরা সহযোগিতা করে তাদেরকে বগুড়া স্টেশনে নামিয়ে দেয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এখন নবজাতক পুত্র ও মা দুইজনই সুস্থ আছেন। তাদের সকাল ৮ টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রসূতি ও নবজাতকের নিবির পরিচর্যা চলছে। ছাড়পত্র দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
মো. ছকমল জানান, ট্রেনের মধ্যে স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে তিনি দিশেহারা হয়ে যান। ছেলে সন্তান প্রসবের পর তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে ট্রেনের যাত্রীদের সহযোগিতায় বগুড়া রেলওয়ে স্টেশনে নেমে যান। তারপর সাগর নামে এক যুবক ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেয়। এরপর খুব দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার সন্তান ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। তারা দুইজনই এখন সুস্থ আছে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার তাপস কুমার জানান, প্রায় ৮টার দিকে ৯৯৯ থেকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। এরপরই কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অসুস্থ প্রসূতি ও তার সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল