বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দফা দাবিতে ডাকা কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌ-বন্দর। কর্মবিরতির কারণে শনিবার বন্দরে সকল কার্গো জাহাজ, লাইটার জাহাজ ও ভলগেট চলাচল বন্ধ ছিল। কোনো প্রকার মালামাল আনলোড হয়নি।
অন্যদিকে, শ্রমিকরা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সকাল ১১টার দিকে নৌবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন। মানববন্ধন চলাকালে শ্রমিক নেতা জামশেদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, আব্দুল ওয়াহাব মিয়া,আলহাজ মো. আব্দুল করিম মাস্টার ও আরিফুল ইনলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমাদের ১১ দফা ন্যায্য দাবিগুলো হচ্ছে- বেতন বৃদ্ধি, খোরাকি ভাতা প্রদান, বাল্কহেডসহ সকল নৌযানে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ২০১৬ সালের ঘোষিত বেতন স্কেলের পূর্ণ বাস্তবায়ন, ভারতগামী নৌযান শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাশ প্রদান ও হয়রানি বন্ধ, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত নৌযান শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদান, নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ, নদীর সঠিক নব্য রক্ষা, মার্কা, বয়া ও বাতি প্রয়োজন অনুযায়ী স্থাপন। বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও সরকার ও কর্তৃপক্ষ দাবি বাস্তবায়ন করছেন না। এ অবস্থায় আর আশ্বাসে বিশ্বাসী না হয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
কর্মবিরতির কারণে বাঘাবাড়ি নৌবন্দরের কোনো জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা করেনি। কোনো জাহাজ ছেড়েও যায়নি। শতাধিক জাহাজ এ বন্দর ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে। ফলে বাঘাবাড়ি নৌবন্দর কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম