১৫ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২০:৪৬

নীলফামারীতে পুলিশের 'নো হেলমেট-নো ফুয়েল' কর্মসূচি

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে পুলিশের 'নো হেলমেট-নো ফুয়েল' কর্মসূচি

হেলমেট ব্যবহার শতভাগ নিশ্চিত করণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নীলফামারী জেলা পুলিশ। হেলমেটবীহিন মোটরসাইকেল চালকদের ফুয়েল সরবরাহ করা হলে পেট্রোল পাম্প মালিকদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। 

কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বিকেলে(১৫ডিসেম্বর)  প্রচারণা মুলক ব্যানার ফেস্টুন সাঁটানো হয়েছে জেলা পুলিশের উদ্যোগে। নীলফামারী-জলঢাকা সড়কের মুক্তা ফিলিং স্টেশনে ‘নো হেলমেট-নো ফুয়েল’ ব্যানার স্থাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। 

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, নীলফামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল ইসলাম ও ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক সেলিম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 
 
জেলা পুলিশ সুত্র জানায়, জেলায় ৩৯টি পেট্রোল পাম্প রয়েছে। এসব পাম্পে তিনটি করে প্রচারণা মুলক ব্যানার সাঁটানো হবে। যাতে করে মোটরসাইকেল আরোহীগণ হেলমেট না থাকলে ফুয়েল পাবেন না এটি জানতে পারেন। প্রবেশ ও বাহির পথ এবং পাম্প মেশিনে যেন এটি দেখতে পান। 

এছাড়াও প্রতিটি পাম্পে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাতে করে পাম্পে হেলমেট বিহীন কাউকে ফুয়েল সরবরাহ করা হচ্ছে কিনা। এটি যাচাই করা হবে। এক্ষেত্রে নির্দেশনা অমান্য করা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এবং দুর্ঘটনায় নিজেকে রক্ষা করতে এরআগেও হেলমেট ব্যবহার নিশ্চিত করণে ক্যাম্পেইন করেছি আমরা। সফলও হয়েছি অনেকটা। হেলমেট ব্যবহার বেড়েছেন আগের চেয়ে অনেক গুন। এটাকে আমরা শতভাগে নিয়ে যেতে চাই। 

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে জেলার ৩৯টি পাম্পের মধ্যে ২১টিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলোতে দ্রুত স্থাপন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মালিকরা।

তিনি বলেন, সিসির ফুটেজ দেখে যদি হেলমেট ব্যবহার না করা ব্যক্তিদের ফুয়েল সরবরাহ করা হয় তাহলে আমরা পেট্রোল পাম্প মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এনিয়ে আমাদের অবস্থান এখন কঠোর। 

তিনি বলেন, ‘নো হেলমেট-নো ফুয়েল’এটা শতভাগ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

 

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর