স্কুল এখন ছুটি। ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে গোটা পঞ্চগড়। প্রত্যেককে ঠান্ডা নিবারণের জন্য কাপড় পড়তে হচ্ছে দুই তিনটে। অলস আগুণ পোহাতে হচ্ছে । তখন শিশুদের ছুটির আনন্দ কেড়ে নিতে পারেনি এই শীত। তারা রীতিমতো উল্লাসে আছে।
গ্রামে গ্রামে চলছে ভূলকাভাত। কেউ কেউ বাড়ি থেকে আনছে চাল, কিনছে ডিম। তারপর নিজেরাই রান্না করে খেতে খেতে হয়ে যায় বিকেল। সন্ধে বেলায় বাড়ি ফিরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আগুন পোহানো। অনেকে যাচ্ছে দাদী নানীর বাড়ি। পিঠে পুলির আপ্যায়ন চলছে বাড়িতে বাড়িতে। গ্রামীণ রাস্তাঘাটে বা ফাঁকা মাঠে তাদের আনন্দের শেষ নেই। মায়েরা বকুনি দিলেও খুশি একশো ভাগ।
সদর উপজেলার পূর্ব শিং পাগড়া গামের আবুল হোসেনের মেয়ে আয়েসা। প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। সকালে তাদের বাবা মা আর পরিবারের সবাই আগুন পোহাচ্ছিলেন আঙ্গিনায়। আর আয়েসা বন্ধুরাসহ ফুটকির ফুল তুলছিলো। আয়েসা বলে ‘ আমরা শাক তুলছি। ভূলকাভাত খেলবো।’ শীত লাগছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে সে হাসে । সে বলে, কাপড় পড়েছি।
তবে ছিন্নমূল ও দরিদ্র পরিবারের শিশুরা আনন্দ নিয়েই কাটাচ্ছে কষ্টের দিন। শীতের কাপড় নেই তাদের। সূর্যের এক ফালি রোদের আশায় কাটছে তাদের দিন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার