অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতার মধ্যেই চলেছে মাদারীপুর বিআরটিএ'র কার্যক্রম। ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, রুটপারমিট, কাগজপত্র নবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা এসব অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ মাদারীপুর দপ্তরটি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রয়োজনীয় সেবা নিতে প্রতিদিনই ভিড় লেগেই থাকে এই প্রতিষ্ঠানটিতে। অভিযোগ রয়েছে, সরকার নির্ধারিত ফি থেকে অতিরিক্ত তিন-চার গুণ টাকা গুনতে হয়। অতিরিক্ত টাকা না দিলে পড়তে হয় বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তিতে। ঘুষ না দিলে বছরের পর বছর ঘুরেও পাওয়া যায় না কাঙ্খিত সেবা। অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে চিহ্নিত দালাল সিন্ডিকেট ছাড়া কোনো কাজ হয় না মাদারীপুর বিআরটিএ কার্যালয়।
মাদারীপুর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শরীফ ফাইজুল কবির বলেন, সার্ভারের দোহাই দিয়ে সেবা গ্রহীতাদের দিনের পর দিন ঘুরায়। টাকা ছাড়া কাজ হয় না। আমরা এর প্রতিকার চাই। পারভেজ নামে এক জানান সেবাগ্রহীতা জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আমি দীর্ঘদিন থেকে ঘুরতেছি। আজ দেই কাল দেই করে দিচ্ছে না। বিআরটিয়ের এইসব অনিয়ম তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান জাহিদ নামে এক সেবাগ্রহীতা।
মাদারীপুর বিআরটিএয়ের সহকারী পরিচালক জিএম নাদির হোসেন বলেন, আগে অনিয়ম থাকলেও এখন অনিয়ম নেই। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্স ঢাকা থেকে আসতে একটু সময় লাগে। ঘুষ নেয়ার কথা অস্বীকার করেন মাদারীপুর বিআরটিয়ের এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার