দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা গত তিনদিন ধরে দেখা মেলেনি সূর্যের আলো।
এদিকে ফুলবাড়ীতে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। একই সাথে শীতজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগী শীতজনিত রোগে ভর্তি হচ্ছে। বহির্বিভাগেও ভিড় লক্ষণীয় শীতজনিত রোগীর।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে আকাশ। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছে না অধিকাংশ মানুষ। ফলে শহর এখন অনেকটা ফাঁকা, আয় কমে গেছে রিক্সা চালক ও দিন মজুরদের।
রিক্সা চালক মনছুর আলী বলেন, সকাল থেকে তীব্র শীত উপেক্ষা করে রিক্সা নিয়ে বের হলেও যাত্রী মিলছে না।
দিনমজুর তবারক আলী বলেন, শীতের কারণে ক্ষেত-খামারে কাজ করা যাচ্ছে না। ফলে আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন রোগী শীতজনিত রোগ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া বহির্বিভাগেও চিকিৎসা নিতে শীতজনিত রোগীরা ভিড় জমাচ্ছে।
তিনি বলেন, শীতের কারণে শিশুরা ডায়রিয়া ও জর সর্দি-কাশি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য তিনি শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের শীত থেকে রক্ষা করার জন্য শিশুদের প্রতি বেশি যত্নশীল হওযার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব