পাবনা শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদী উদ্ধারে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথভাবে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। সোমবার সকাল ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু হয়। এ সময় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয় ইছামতি নদীর দুই পাড়ের সকল অবৈধ স্থাপনা।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শহরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত এক সময়ের প্রমত্তা ইছামতি নদী কালের বিবর্তনে দখলকারীরা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি করে। পাবনাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ছাড়াও বিপুল পরিমাণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন। পাবনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম অভিযান কার্যক্রম সমন্বয় করেন। এ সময় বুলডোজার দিয়ে পাকা স্থাপনাগুলো ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ সময় অবৈধ দখলদারের অনেকেই নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে জোরপূর্বক উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানান। তবে, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া মেনেই উচ্ছেদ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে ইছামতির ৩৩৪ জন তালিকাভুক্ত অবৈধ দখলদারসহ গোটা জেলায় সহস্রাধিক অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পাবনা অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, দখল উচ্ছেদ কার্যক্রমে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযানে বড় বড় দ্বিতল এবং তিনতলা ভবনসহ ৮০টি অবকাঠামো ভেঙ্গে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৫ একর সরকারি সম্পত্তি। যার অনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া মেনেই উচ্ছেদ পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পর্যায়ক্রমে ইছামতির ৩৩৪ জন তালিকাভুক্ত অবৈধ দখলদারসহ গোটা জেলায় সহস্রাধিক অবকাঠামো উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম