হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় হাড়-কাঁপুনি শীত দিনাজপুরে। তাপমাত্রা দিনে কিছুটা কম থাকলেও বিকালের পর থেকে শুরু হয় কনকনে ঠাণ্ডা। শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগও। এতে বেশি দুর্ভোগে ছিন্নমূল মানুষ।
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠাণ্ডায় বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। সারাদিনে ঠাণ্ডা বাতাস রাতে কুয়াশা। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা শীতে কষ্ট পাচ্ছে বেশি। জেলেসহ বিভিন্ন শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। তবে এতো ঠাণ্ডার মধ্যেও অনেকে চায়ের ও পিঠার দোকানে ভিড় করছেন।
কনকনে ঠাণ্ডায় শীতজনিত রোগ ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বেশি অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা। এ অবস্থায় বয়স্ক ও শিশুদের ঘর থেকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অরবিন্দ শিশু হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মনীন্দ্র নাথ রায়।
এদিকে বিভিন্ন উপজেলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। দিনাজপুরে ১৩টি উপজেলার দরিদ্র ও ছিন্নমূলদের মধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার কম্বল বণ্টন করেছে বলে সাংবাদিকদের জানান জেলা ত্রাণ পুর্নবাসন কর্মকতা মো. মোখলেছুর রহমান।
আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে কনকনে ঠাণ্ডা লাগছে। আরও শৈতপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক