২৬ জানুয়ারি, ২০২০ ১৪:০৬

কলেজ ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো, একজনের মৃত্যুদণ্ড

বরগুনা প্রতিনিধি

কলেজ ছাত্রীকে হত্যার পর লাশ ৭ টুকরো, একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলী পৌরসভার হাসপাতাল সড়কে ২০১৭ সালে ফারিয়া আক্তার মালা হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল অভিযুক্ত চারজনের মধ্য একজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জ্বীবন, একজনকে ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে। অপর একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আজ রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় সকল আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল। আসামি পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট কমল কান্তি দাস। 

মামলার বিবরনের উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি ফারিয়া আক্তার মালাকে আমতলীতে ১নং আসামি আলমগীর হোসেন বেড়াতে নিয়ে আসে। এরপর সে ২নং আসামি এ্যাডভোকেট মাইনুল আহসানের বাসায় নিয়ে আসে মালাকে। সেখানে মালাকে যৌন নির্যাতন করে কুপিয়ে হত্যা করে ৭ টুকরো লাশ ড্রামে ভর্তি করে রাখে। পুলিশ খবর পেয়ে এ্যাডভোকেট মাইনুল আহসানের বাসায় তল্লাশী করে ড্রাম ভর্তি লাশ উদ্ধার করে। তাৎক্ষনিক ভাবে আলমগীরকে গ্রেফতার করে। 

মালার বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে আমতলী থানায় আলমগীর ও মাঈনুলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত শেষে আলমগীর হোসেন পলাশ, মাঈনুল আহসান বিপ্লব, আইনজীবী সহকারী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ ও বিপ্লবের স্ত্রী ইমা রহমানের বিরুদ্ধে ১৭/৪/১৮ তারিখ অভিযোগ পত্র দাখিল করে। 

 

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর