লক্ষ্মীপুর থেকে বনভোজনে কুমিল্লার একটি পার্কে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরল স্থানীয় ইলেভেন কেয়ার একাডেমীর ছাত্রী ফৌজিয়া আফরিন সামিয়া। বৃহস্পতিবার রাতে অন্য সহপাঠি ও শিক্ষকরা তার লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেন। এর আগে পার্কে তার লাশ পাওয়া যায়। এদিকে এ মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারন এখনো জানা যায়নি। তবে পরিবার বলছে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনসহ স্থানীয়রা ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ভিড় করেন। নিহত সামিয়া সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিনের কন্যা ও একাডেমীর ২য় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী।
জানা যায়, পৌর শহরের শেখ রাসেল সড়কে অবস্থিত ইলেভেন কেয়ার একাডেমী থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ৫০জন শিক্ষার্থী নিয়ে কুমিল্লার একটি পার্কে বনভোজনে যায় কর্তৃপক্ষ। বিকাল ৩টায় প্রধান শিক্ষকের মুঠোফোনেও বাবার সাথে কথা হয় সামিয়ার। ঘণ্টাখানেক পর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তা মানতে রাজি নন বাবা গিয়াস উদ্দিন ও মা কানিস ফাতেমা।
তারা জানান, বনভোজনে যেতে দিতে না চাইলেও শিক্ষকরা জোর করে তাকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন সন্তান হারা এ বাবা-মা। এ ব্যাপারে নিহতের সহপাঠীরা কেউ মুখ খুলতে রাজি নয়।
সালমা নামের এক সহকারি শিক্ষক বলেন, পানিতে খিচুনি উঠলে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা আত্মগোপনে রয়েছে, তাদের মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রিয়াজুল কবিরের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
তবে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুর রেদোয়ান আরমান শাকিল জানান, বনভোজনে ছাত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ