বঙ্গোসাগরে মাছ ধরার সময় এফবি বরুজান বিবি-১ ট্রলারের পাখা ভেঙে যাওয়ার পর ভেসে যাওয়ার ভয়ে গ্রাফি দিয়ে অবস্থার করছিলেন ১৭ জেলে। এ সুযোগে জলদস্যুরা ওই ট্রলারে আহরিত ১৫ লাখ টাকার মাছসহ রসদ মামগ্রী ছিনিয়ে নেয় এবং ট্রলারে থাকা ১৭ জেলেকে বেঁধে পিটিয়ে আহত করে।
বৃহস্পতিবার রাতে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সশস্ত্র জলদস্যু বাহিনী এ তাণ্ডব চালায়।
এ ঘটনায় আহত জেলেদের মধ্যে মো. সগির হোসেন, আ. মন্নান ও সোহেলের অবস্থা গুরুতর। জানা যায়, ট্রলারের মালিক রিপন ফকির বরগুনার নিন্দ্রা ছকিনা এলাকার বাসিন্দা। তবে জলদস্যু বাহিনীর নাম জানা যায়নি।
শুক্রবার সকালে আহত জেলেরা মোবাইলের মাধ্যমে ঘটনার বিস্তারিত জানালে একই মালিকের এফবি বরুজান বিবি-২ ট্রলার জেলেদের উদ্ধারের জন্য রওয়ানা দেয়।
ট্রলার মালিকের বরাত দিয়ে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন,
গত ২৩ জানুয়ারি মাছ ধরার জন্য বরগুনার নিন্দ্রা ছকিনা এলাকার রিপন ফকিরের মালিকানা এফবি বরুজান বিবি-১ ট্রলার নিয়ে ১৭ জন জেলে বঙ্গোপসাগরে যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ওই ট্রলারের পাখা ভেঙে গেলে বঙ্গোপসাগরের ভাঙ্গা নামক জায়গা গ্রাফি দিয়ে অবস্থান নেয় জেলেরা। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই জেলেদের ট্রলারে হামলা চালায় জলদস্যু বাহিনী। এসময় জেলেদের বেঁধে পিটিয়ে আহত করে সর্বস্ব লুট করে দস্যুরা।
এসময় জেলেদের মধ্যে মো. সগির হোসেন, আ. মন্নান ও সোহেলের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় জলদস্যুদের চিনতে পারেনি জেলেরা। পরে জেলেদের উদ্ধারে অপর একটি ট্রলার রওয়ানা দেয়।
কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার শাহজালাল বলেন, আমরা টহলরত অবস্থায় আছি। এখন পর্যন্ত এমন খবর আমাদের কেউ জানায়নি। তবে বিস্তারিত জানতে খোঁজ নিব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন