ঢাকার ধামরাইয়ে ধষর্ণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে মানবেতর জীবনযাপনের খবর প্রকাশ হয় বাংলাদেশ প্রতিদিন'র অনলাইন ভার্সনে। গত ২৮ জানুয়ারি 'ধামরাইয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা' শিরোনামে এ খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে প্রশাসনের।
বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল হক ওই ধর্ষিতার বাড়িতে যান এবং তার খোঁজখবর নেন।
এসময় অসহায় ওই পরিবারকে চারটি কম্বল প্রদান করেন এবং ওই পরিবারকে 'জমি আছে ঘর নেই' এমন প্রকল্পের আওতায় একটি ঘর প্রদান করবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়াও ওই অন্তঃসত্ত্বা স্কুলছাত্রীকে সরকারি সেফ হোমে রাখা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ধামরাইয়ের মুন্সীচর গ্রামের নিকলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পাশের বাড়ির মোকছেদ আলীর (৫৫) বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যেত। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মোকছেদ আলী ভয়ভীতি ও হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে তাকে। এভাবে হুমকির মুখে একাধিকবার ধর্ষণে স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কয়েকজন মাতাব্বরের মাধ্যমে ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে আপোষের চেষ্টা চালায় চার সন্তানের জনক ধর্ষক মোকছেদ আলী।
মাতাব্বররা কয়েক দফায় ধর্ষিতা ও তার বাবাকে আটকও করে রাখে। ধামরাইয়ে আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী গ্রামের বাস চালক চানমিয়ার বাড়িতে ১২ ঘণ্টা আটকে রেখে ২ লাখ টাকা প্রদানের বিনিময়ে ধর্ষণের ঘটনা আপোষ করা হলো- মর্মে ধর্ষিতার বাবার কাছ থেকে সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া হয়। এসময় মাতাব্বর চৌহাট ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন, বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আল আমীন, মুন্সিরচর গ্রামের মরন আলী, ধর্ষক ও তার ভাই দরবার আলীসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি দ্বিপক চন্দ্র সাহা তক্ষাণিক ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে ধামরাই থানায় মামলা নেন এবং ধর্ষক মোকছেদ তার ও কয়েকজন মাতবরকে গ্রেফতার করেন। বর্তমানে ধর্ষক জেল হাজতে থাকলেও মাতবররা জামিনে আছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল