স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা কোচিং না করায় তাদের বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়নি। এমন অভিযোগ উঠেছে দিনাজপুরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নে বাহাদুর হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।
এমনকি পরীক্ষার্থীরা গত ২৫ জানুয়ারি নিজেরাই বিদ্যালয়ের জন্য সিলিং ফ্যান এবং তাদের জুনিয়র বোনদের জন্য বিদায় উপলক্ষে কিছু তবারক নিয়ে গেলেও সেটি গ্রহণ করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুল থেকে ১৮জন এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বাহাদুর হাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী মোছা. সোনা মনি আক্তার, মোছা. আয়সা সিদ্দিকাসহ অনেকে বলেন, বিদ্যালয়ে কোচিং না করার কারণে আমাদের বিদায় দেবে না সেটাও আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু স্যাররা ৫ বছর পড়িয়েছেন, এজন্য আমরা সিলিং ফ্যান গিফট এবং আমাদের জুনিয়র বোনদের জন্য খুরমা নিয়ে স্যারদের কাছে যাই। স্যার আমাদের জুনিয়র বোনদের ডেকে এনে তাদের সামনে বলেন, তোমরা আমাদের কাছে কোচিং করো নাই, তোমাদের গিফট ও তোবারক নিতে পারবো না। এরপরও কোচিং না করায় ভুল শিকার করলেও স্যাররা কথা শুনেননি। পরে আমরা ফ্যান আর তোবারকগুলো মসজিদে দিয়েছি।
অভিভাবক মো. আলতাফুর রহমান বলেন, আমার মেয়ে কোথায় কোচিং করবে সেই সিদ্ধান্ত তো প্রধান শিক্ষক নিতে পারে না, তারা তো ফ্রি কোচিং করাবেন না। আমাদের মেয়েদের বাহিরে কোচিং করার কারণে এবার বিদায় দেওয়া হল না। এজন্য মেয়েগুলো খুব কষ্ট পেয়েছে।
আরেকজন অভিভাবক মো. আশরাফ আলী বলেন, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয় চলাকালীন কোচিং করায়, এজন্য আমার মেয়েকে অন্যত্র কোচিং করিয়েছি।
এ ব্যাপারে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোকাররম ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বলেছিলাম স্কুলে কোচিং বা অতিরিক্ত ক্লাস করলে ভালো রেজাল্ট হবে, কিন্তু তারা সেটা করেনি। তাই আমরা বিদায় দেইনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল