চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। এদিকে, চীন, ভারত, ভুটান ও নেপাল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ পথ লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু বন্দরে সতর্কতা জারি করা হলেও সেখানে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার কোনো যন্ত্র পাতি নেই।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারত-বাংলাদেশের প্রবেশ দাঁড়ে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ছাড়াই শুধু জিজ্ঞাসা করেই চলছে চিকিৎসা।
বাংলাদেশে প্রবেশ পথ বুড়িমারী স্থলবন্দরে নেই ভাইরাস শনাক্তের থার্মাল স্ক্যানার। এ পথে ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চীনের প্রতিবেশী দেশ ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রাণকেন্দ্র লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যই নয়। এ স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায় অর্ধসহস্রাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী এসব দেশে যাতায়াত করছেন। যার বেশির ভাগই চিকিৎসার জন্য যাতায়াত করেন।
এছাড়াও এসব দেশের শত শত ট্রাকের চালক সহকারী চালক প্রতিদিন বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এবং দেশের চালকরাও ভারতে প্রবেশ করছে। সবমিলে ত্রিদেশীয় প্রবেশ পথও ধরা হয় বাংলাদেশের বুড়িমারী ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ এ প্রবেশ পথে স্বাস্থ্যকর্মীরাই শুধুমাত্র প্রশ্ন করেই যাত্রীদের ছেড়ে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে ভাইরাস শনাক্তে থার্মাল স্ক্যানারে স্ক্যানিংয়ের বিকল্প নেই। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ পথে কোনো থার্মাল স্ক্যানার না থাকায় এ পথ দিয়ে করোনাভাইরাস দেশে ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সুধীজন।
বুড়িমারী স্থলবন্দরে করোনাভাইরাসের জন্য চার সদস্যের মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
কুড়িগ্রামের বাসীন্দা সিরাজুল ইসলাম জানান, ১৫ দিন আগে ভারতের ভেললে চিকিৎসা নিয়ে ফেরার সময় তিনি বলেন, ভারতে করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো পরীক্ষা করেনি। বুড়িমারী স্থল বন্দরে চিকিৎসকরা শুধু জ্বর, সর্দি আছে কি না জিজ্ঞাসা করেই ছেড়ে দিলেন।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাহমুদ বলেন, স্থল বন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য ৪ জন চিকিৎসক থাকলেও রোগ শনাক্তের জন্য কোনো যন্ত্রপাতি নেই।
বুড়িমারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আয়ুব আলী সরকার জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তর জন্য কোনো যন্ত্রপাতি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে প্রদান করেনি। তাই শুধু যাত্রীদের প্রশ্নে করেই চিকিৎসা দিচ্ছি।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কাসেম আলী বলেন, বুড়িমারী ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে চীনা নাগরিক আসার সম্ভাবনা নেই। তবে শরীর স্ক্যানিং যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হলে অবশ্যই বসানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন