সংস্কার কাজের ধীর গতির কারণে চমর ভোগান্তিতে পড়েছে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরবাসীসহ নাটোর-পাবনা মহাসড়কে চলাচলকারী লাখো মানুষ।
বনপাড়া পৌরবাজার থাকে ধুলাময় আর জ্যামে পড়ে বাস-ট্রাকের হয় দীর্ঘসময় অপচয়। নাটোরের বনপাড়া পৌরসভার মূল ফটকের সামনে ৫০০ মিটার মহাসড়কের এই হাল।
জানা যায়, গতবছর নভেম্বরে পাবনা-নাটোর মহাসড়কের নাটোর অংশ সংস্কারের জন্য খুলনার মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এরা কিছু এলাকায় কাজ শুরু করেছে। কিন্তু বনপাড়া পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই অংশটুকুতে এখনও কাজ শুরু করেনি।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, বনপাড়া পৌর বাজারের বুক চিরে বয়ে গেছে নাটোর-পাবনা মহাসড়ক। এই সড়কে দুর্ঘটনা ও জানজট কমাতে মাঝ বরাবর ডিভাইডার দেয়া হয়েছে। আর তখন থেকেই শুরু হয়েছে ভোগান্তি। ডিভাইডাররের দুই পাশে কার্পেটিং উঠে হাজারও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এরপর সেখানে ইট বিছিয়ে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই সড়কে মংলা বন্দর, রূপপুর পরমাণবিক কেন্দ্রসহ অন্যান্য জেলায় চলাচলকারী অধিক ভাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে দু’একদিনেই সেই ইট ভেঙ্গে ধুলাই পরিনত হচ্ছে। আর এবরো-থেবরো ৫০০ মিটার সড়ক পার হতে আটকে যাচ্ছে গাড়ি। শুরু হচ্ছে জানজটের।
এই সড়ক সংলগ্ন চা বিক্রেতা খায়রুল ইসলাম বলেন, গত তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে এই সড়কে ইট বিছিয়ে সংস্কার করা হচ্ছে। যা ভেঙ্গে ধুলা হয়ে যাচ্ছে। ফলে ধুলা উড়ে বসবাস কষ্টকর হচ্ছে। রোজ জলমটর দিয়ে পানি ছিটিয়ে কোনমত দোকান চালাতে হচ্ছে।
বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক এখানে সংস্কারের এই হাল মেনে নেয়া কষ্ট কর। এর ফলে আমার পৌরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আরমান আলীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
সওজ নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজেস রহমান বলেন, আমি এই সপ্তাহেই যোগদান করেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি সড়কের এই অংশ সংস্কারের জন্য ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে। অতিদ্রুত সময়ে যাতে তারা সংস্কার কাজ শেষ করে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল