চট্টগ্রাম থেকে ছিনতাইকৃত ২০৭ বস্তা লবণ বোঝাই ট্রাক পাঁচদিন পর বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনায় আন্তজেলা ছিনতাইকারী দলের সদস্য ট্রাকচালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বগুড়ার শেরপুর উপজেলার দড়িমকন্দ গ্রামের হাবিবর রহমানের ছেলে ট্রাক চালক রঞ্জু মিয়া (৪৫) ও শাহজাহানপুর উপজেলার নয়মাইল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে হেলপার আব্দুল বারিক (২৬)। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর শনিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতদের ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রাগাইচটি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে বুলবুল মিয়া একজন পাইকারি লবণ ব্যবসায়ী। তিনি গত ২৬ জানুয়ারি কক্সবাজারের নাপিতখালী ইসলামপুর শিল্প এলাকার আল সৌদিয়া সল্ট ক্রাশিং ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় ২০৭ বস্তা লবণ ক্রয় করেন। ওই দিন রাত ৯টার দিকে তিন বোন এন্টারপ্রাইজ নামে ট্রাকে মোট লবণবোঝাই দিয়ে একই সাথে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারী দরগাহাটা এলাকায় পৌঁছালে লবণের মালিক বুলবুল মিয়াকে ট্রাক থেকে কৌশলে নামিয়ে দিয়ে চালক ও হেলপাররা ২০৭ বস্তা লবণ বোঝাই ট্রাক নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ছিনতাইকারীরা ট্রাকের নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে (ঢাকা মেট্টো ট ২২-৩১৮১) ধুনট উপজেলার নিমগাছি গ্রামের মামুন মিয়া তপন নামে তাদের এক সহযোগীর বাড়ির দিকে রওনা হয়। এ অবস্থায় গত ৩০ জানুয়ারি সকালে ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি বাঙ্গালী নদীর ওপর সেতুর নিকট ট্রাকটি থামিয়ে চালক রনজু মিয়া ও হেলপার আব্দুল বারেক অপেক্ষা করছিল। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ধুনট থানায় জানায়। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ লবণবোঝাই ট্রাকসহ চালক ও হেলপারকে আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। এ ঘটনায় লবণের মালিক ব্যবসায়ী বুলবুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত রঞ্জু মিয়া ও আব্দুল বারিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বগুড়ার ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক