গ্যাসের আপার জোন অথবা পকেট থেকেই উদগীরণ হচ্ছে বিপদজ্জনক মাত্রায় গ্যাস। নিজে থেকে এ গ্যাস নিঃশেষ হতে হবে। কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা পেলে ভয়াবহ বিপদ হতে পারে। শক্তি প্রয়োগ করা যাবে না। এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার বায়েকে উদগীরণ হওয়া গ্যাস নিয়ে এমন ধারণাই দিয়েছেন গ্যাস সেক্টরের একজন ভূতত্ত্ববিদ।
বায়েকের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গভীর নলকূপের পাইলিং শেষে পাইপ বসাতে গিয়ে গত বুধবার (৫ফেব্রুয়ারি) সকালে বিপদজ্জনক মাত্রায় গ্যাস বের হতে থাকে। বাপেক্স কর্মকর্তারা প্রথমে ৭২ ঘন্টা গ্যাস উদগীরণ পর্যবেক্ষন কথা বললেও এখন স্বীকার করেছেন ওই অঞ্চলে গ্যাস জোন রয়েছে। গ্যাসের আপার, মিডেল ও লোয়ার জোনের মধ্যে আপার জোন থেকেই এই গ্যাস উদগিরন হচ্ছে।
একজন ভূতত্ত্ববিদ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে শক্তি প্রয়োগ করে গ্যাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে বিপদজ্জনক হতে পারে। কারণ জিওলোজিকেল ভাবে ওই এলাকায় গ্যাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। ওই কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, বাণিজ্যিক ভিত্তিতে লাভজনক নয় বলে উৎপাদন করা যাবে না।
ঐ কর্মকর্তার মতে, গভীর নলকূপ বসানোর সময় অসাবধানতার কারণেই এমনটি হয়েছে। নলকূপের পাইপ বসাতে গিয়ে বেশী গভীরে চলে যাওয়ায় অসাবধানতা বসত মাটির তলদেশের গ্যাস স্ট্র্যাকচারে পাইপ আঘাত করায় এমনটি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে এমনিতেই এ গ্যাস বের হয়ে যাবে বলে সুত্র জানিয়েছে। গ্যাসের উৎকট গন্ধ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ত্রি-মাত্রিক জরিপেও সালদা ও আশপাশের এলাকায় গ্যাস স্ট্রাকচারের সুনির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে। অবশ্য গত বছর কসবায় দুটি উৎপাদন গ্যাস কূপ খনন করার পর সেখান থেকে পরিমানে কম গ্যাস উত্তোলন যোগ্য গ্যাস পাওয়া যায়। পরে কূপ দুটি থেকে আর গ্যাস উত্তোলন করা হয়নি। কিলিং করা হয় উৎপাদন কূপ।
এদিকে, গত ৩ দিন ধরে সমানে মাটির তলদেশ থেকে কাঁদা ও পানি মিশ্রিত বালি বের হওয়ায় সেখানে ভূমি ধসের আশংকা করছে স্থানীয়রা। ৩দিনে সেখানে বড় ধরনের খাদের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে বাপেক্সের একটি প্রতিনিধিদল এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ