বর্ষা নয়, এখন শীতেও বৃষ্টি পড়ছে পাহাড়ে। একই সাথে কনকনে ঠান্ডা আর বাতাস। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেখা নেই সূর্যের। মেঘলা আকাঁশে সাদা মেঘের চাঁদরে ঢেকে আছে পুরো পাহাড়। গুড়ি গুড়ি শীতল বৃষ্টিতে বেড়েছে হাড়কাপানো শীতের তীব্রতা। একইসঙ্গে বেড়েছে ঘন কুয়াশা।
তবে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিস বলছে, আদ্রতা বেশি থাকার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতে বেশি বিপাকে পড়েছে রাঙামাটির নিন্ম আয়ের মানুষ। কনকনে ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে পারেনি কেউ। এছাড়া চরম দুর্ভোগে রাঙামাটি জেলা ৬টি দুর্গম উপজেলা লংগদু, বিলাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি, নানিয়ারচর ও বাঘাইছড়ির বাসিন্দারা। এসব উপজেলাগুলো সীমান্তবর্তী হওয়ায় এখানে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি শীত অনুভূত হয়। পুরো শীত মৌসুম জুড়ে পাহাড়ের বাসিন্দারা কোন রকম দিন পার করলেও মাঘ মাসের শেষ মুহুর্তে এসে মারাত্মক বিপাকে পড়েছে। শীতের কারণে জুম বাগানেও যেতে পড়ছে না জুম চাষীরা।
এ ব্যাপারে রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজি হুমায়ন কবির জানান, বর্তমানে রাঙামাটিতে আদ্রতা আছে ৫৮ভাগ। আর বাতাস ১৬কিমি। হঠাৎ গুড়ি বৃষ্টি ক্ষণস্থায়ী থাকলেও আদ্রতা বেশি থাকার কারণে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন