সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে আট বছর বয়সী শিশু তুহিনের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তুহিনের বাবা আব্দুর বাছির ও চাচা নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সুনামগঞ্জ দায়রা জজ আদালতের বিচারক ওয়াহিদুজজামান শিকদার এই দণ্ডাদেশ দেন।
এই মামলায় আসামি তুহিনের অপর দুই চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির ও জমসেদ আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের দু'জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এদিকে, গত ১০ মার্চ তুহিন হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি তুহিনের চাচাতো ভাই শাহরিয়ার আহমদকে (১৭) ৮ বছরের আটকাদেশ দেন শিশু আদালতের বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশু তুহিনকে জবাই করে হত্যা করার পর তার পেটে দু'টি চাকু ঢুকিয়ে ও যৌনাঙ্গ কেটে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে স্বজনরা। দু'টি ছুরির বাটে তুহিনের বাবা-চাচার প্রতিপক্ষ সুলেমান ও সালাতুলেন নাম খোদাই করে লিখা ছিল। সকালে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
হত্যাকাণ্ডের একদিন পর তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় মামলা করেন। এই মালায় পুলিশ তুহিনের বাবা আবদুল বাছির (৪০), চাচা নাসির উদ্দিন (৩৫), আবদুল মছব্বির (৪৫) ও জমসেদ আলী (৬০) এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৩০ ডিসেম্বর এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ৭ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার বেগম বলেন, আদালত তুহিনের বাবা ও এক চাচাকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। দুই চাচাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এই রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ