নেত্রকোনার মদনে শিশুর ভাঙ্গা হাতের পরিবর্তে ভালো হাত প্লাস্টার করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) মদন উপজেলার দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইদুঁচানের দুই বছরের শিশু কন্যা ইমা (২) আক্তাকের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন।
জানা গেছে, মদন উপজেলার মদন দক্ষিণপাড়া গ্রামের ইদুঁচানের শিশু কন্যা ইমা খেলতে গিয়ে বিছানা থেকে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় তার বাঁ-হাতটি ভেঙ্গে যায়। পরে শিশুটিকে নিয়ে মা তাসলিমা আক্তার মদন হাসপাতালে নিয়ে যান। এর আগে একটি ক্লিনিক থেকে হাতের এক্স-রে করে আনেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিরাজুল ইসলাম মিরাজ শিশুর ভাঙ্গা হাত রেখে ডান হাত প্লাস্টার করে দেন। বাড়িতে নিয়ে গেলেও শিশুটি ব্যাথায় অস্থির করে তুললে পুনরায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
শিশুটির বাবা-মা জানায়, মেয়েকে ভুল হাতে প্লাস্টার করছে এটি তারা অনেকবার বলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের কথায় কেউ কোনও গুরুত্বই দিলেন না। বাড়ি নিয়ে গেলে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছিল ফলে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসি। এরপর নতুন আরেকটি এক্স-রে সম্পন্ন করে বা হাত প্লাস্টার খুলে ডান হাতে প্লাস্টার করেন।
উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিরাজুল ইসলাম মিরাজ জানান, তারা আগেই এক্স-রে করে নিয়ে এসেছে। শিশুটির ডান হাতে ধরতেই ব্যথা অনুভব করায় ওই হাতেই প্লাস্টার করা হয়। এক্স-রেতে কোন হাতে ব্যথা হয়েছে তা লেখা ছিলনা। ফলে ভুলটি হয়েছে। আবার নতুন করে এক্স-রে নিয়ে প্লাস্টার করে দিয়েছি।
মদন উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডাক্তার ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপুর সাথে রাতে কথা বলে জানা যায়, এসময় ডিউটিতে ডাক্তার রিফাত সাইদ ছিলেন। তিনি রিফাতের সাথে কথা বলে জানান, রোগীর স্বজনরা নিজেরাই এক্স-রে করে নিয়ে আসে। এটি দেখে রিফাত বাইরে যেতেই মিরাজ হাতে প্লাস্টার করে ফেলে। তারা তখন বলেনি কোন হাতে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা স্থানীয় সাংবাদিকরা আমাকে জানিয়েছে। তবে শিশুটির পরিবার কোন অভিযোগ করেনি। বলেছি আগামীকাল (বুধবার) লিখিত অভিযোগ দিতে। আমরা এই ঘটনার অবশ্যই ব্যবস্থা নিবো। এমন ভুল করবে কেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন তাজুল ইসলাম জানান, এই ঘটনার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ