বগুড়ার সোনাতলায় ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে এক দম্পতির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যাবত ঘরসংসার করার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ওই গৃহবধুর গর্ভে জন্ম নেওয়া দুই শিশু পুত্রকে নিজের সন্তান বলে অস্বীকার করার পাশাপাশি দু’পুত্রসহ ওই গৃহবধুকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে ওই গৃহবধু স্বামী ও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গারামারা গ্রামের মৃত সদরুল্লাহর ছেলে ও গার্মেন্টস কর্মী মো. জাহিদ হাসানের (৩৫) সাথে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার চক সাতারি গ্রামের হুদা মন্ডলের মেয়ে ও গার্মেন্টস কর্মী ববিতা বেগমের সাথে দীর্ঘ ১২ থেকে ১৩ বছর পূর্বে পরিচয় ঘটে। সেখান থেকে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে ২০১৩ সালে ডিসেম্বর মাসে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ঢাকার খিলখেতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে দেয়। এরপর তাদের দাম্পত্য জীবনে আবির্ভাব ঘটে সাড়ে ৫ বছরের ছেলে সন্তান রাসেল ও ৩ বছরের ছেলে সন্তান হৃদয়ের।
এরপর ওই দম্পতি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরুতেই ঢাকায় কর্মরত গার্মেন্টসের চাকুরি ছেড়ে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের গারামারা এলাকায় ফিরে আসে। এরপর কারণে অকারণে শুরু হয় ওই গৃহবধুর উপর অমানুষিক নির্যাতন। এমনকি তার গর্ভের দু’ছেলে সন্তানের পরিচয় ও বিয়ে অস্বীকার করে গত বুধবার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ননদ অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে ওই গৃহবধু স্বামী ও সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
গৃহবধু ববিতা বেগম (২৬) জানান, বর্তমানে তার স্বামী জাহিদ হাসান বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। মধুপুর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার জৈন নতুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে ওই গৃহবধু তার কাছে এসে বিচার দাবি করেন। এছাড়াও তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে উভয়পক্ষকে ডাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন জানান, তার কাছে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে তিনি জানান। বগুড়ার সোনাতলা থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন