দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গৃহবধূ শারতি রানীকে যৌতুকের দাবিতে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহন্তকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার ভোর রাত ৩টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের চিন্তামন মহালী পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
সকালে পুলিশ নিহত শারতিরানীর মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেছে। আটক গৌরাঙ্গ চন্দ্র মহন্ত ফুলবাড়ীর বেতদিঘী ইউপির চিন্তামন মহালীপাড়ার গোপাল চন্দ্রর ছেলে।
নিহত গৃহবধূ শারতিরানী (৩০) ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপির চিন্তামন মহালীপাড়ার গৌরাঙ্গ মহন্তের স্ত্রী ও পার্বতীপুর উপজেলার হামিদপুর ইউপির খলিলপুর মহালী পাড়ার মুকুল চন্দ্র মহন্তের মেয়ে। রবিবার এই ঘটনায় নিহত গৃহবধুর পিতা মুকুল চন্দ্র মহন্ত বাদি হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা ও তাদেও পরিবার জানায়, গত প্রায় ১০ বছর পুর্বে তার মেয়ে শারতিরানীর বিয়ে হয়। ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন মহালী পাড়ার গোপাল চন্দ্রর ছেলে গৌরাঙ্গ চন্দ্র মহন্তর সাথে। তাদের ঘরে গীতিরানী ও স্মৃতিরানী নামে ৭ ও ২ বছরের দুটি মেয়ে আছে। কিন্তু গৌরাঙ্গ প্রায় যৌতুকের জন্য শরিতি রানীকে মারপিট করতো। নেশা (মাদক) খেয়ে এসে শারতিরানীসহ তার মেয়েদেরও মারপিট করতো। গত শনিবার দিবাগত রাতে নেশা খেয়ে এসে শারতি রানীকে মারধর করার এক পর্যায়ে তার গলা টিপে ধরে স্বাশরোধ করে হত্যা করে।
ফুলবাড়ী থানার ওসি ফকরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় বাসীন্দাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে এবং সকাল ১০ টায় রাজারামপুর নাপীতপাড়ায় আত্মগোপন করে থাকা স্বামী গৌরাঙ্গ চন্দ্র মহন্তকে আটক করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার