কুড়িগ্রামে নির্মাণাধীন সড়ক সেতুর বিকল্প রাস্তা কেটে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা করায় বর্তমানে যান চলাচলসহ জনসাধারণের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। জেলা সদরের শুলকুর বাজার এলাকায় এ সেতুর পাশে নির্মিত বিকল্প সড়কের প্রায় ২৫ মিটার অংশ এলাকাবাসীরা কেটে দিলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার কাচির চর, ভোগডাঙ্গা ও উত্তর নওয়াবস গ্রামের বাসিন্দারা সড়কের এ অংশটি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কেটে দেয়া হয়। এতে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির পানি জমে ওই ৩ গ্রামে যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল সে সমস্যা দূর হলেও এখন যানবাহন ও মানুষ চলাচলে মারাত্বক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের ঢেড়শ,পটল ও ঝিঙেসহ নানা সবজি খেত।অন্যদিকে,সদর উপজেলার যাত্রাপুর ও পাঁচগাছি এবং উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে এসব এলাকার মানুষ যাতায়াতে ও মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
যাত্রাপুর এলাকার তমিজ মিয়া ও কাচির চরের এরশাদুল হক ভোলা জানান,আমাদের শুলকুর বাজারের পাশে যে সেতুটি ছিল তা প্রায় দুই বছর যাবত ভাঙ্গা। ফলে আমরা নিজেরাই আমাদের প্রয়োজনে তার পাশে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করে আসছি।
স্থানীয় দোকানদার রফিকুল মিয়া জানায়, প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয় করে ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ কাজ ধীরে ধীরে করা হচ্ছে। আর কয়েকদিন বাদে আসছে বর্ষা।কাজের গতি নেই। করোনার দোহাই দিয়ে শেষ করছেন না ঠিকাদার। এ অবস্থায় বিকল্প রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয় সকলকে। পানি নেমে যাওয়ার কোন উপায় না থাকায় এলাকাবাসীরা আমরা কেটে দিয়েছি।কিন্তু এখন যাতায়াত করব কীভাবে। তাই সড়ক বিভাগ যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমরা চলাচল করতে পারব।
এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভাঙা সেতুর দক্ষিণে পানি জমে উপচে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিকল্প এ রাস্তাটি কেটে না দিলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় এলাকাবাসীদের। গত এক সপ্তাহ যাবত বৃষ্টির পানি যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে থাকায় এ ৩ গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ঢেড়স, ঝিঙ্গা ও পটলসহ বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়ে তারা সড়কটি কেটে দেন বলে জানা যায়।
পাঁচগাছি ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন জানান, পানি বের করতে সড়কটি কেটে দেওয়ায় যাতায়াতে এবং মালামাল পরিবহনে চরম ভোগান্তিতে এখন দুই দিকের ৩ গ্রামের মানুষ।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলাম সাময়িক কষ্টের কথা স্বীকার করে বলেন, এলজিইডির সদর পজেলা প্রকৌশলীকে সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে অটোরিক্সা ও অন্যান্য যান চলাচলে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া যায় সে ব্যবস্থা দুই একদিনের মধ্যে করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ