বগুড়ায় কোরবানির হাটে প্রচুর পশু আনা হলেও সে তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা কম। তবে বৃহস্পতিবার সোনাতলায় সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাটে প্রচুর গরু-ছাগল কেনাবেচাও হয়েছে। ওই হাটের বেশির ভাগ ক্রেতাই ছিল গরুর ব্যাপারী। তারা হাটে হাটে গরু কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গরু ছাগল নিয়ে যাচ্ছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাট জেলার পশু হাটগুলোর মধ্যে অন্যতম। ওই হাটে বিপুল সংখ্যক গরু ছাগলের লক্ষ্য করা গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ট্রাক, ভটভটি, মিনি ট্রাক, নৌকা ও পায়ে হেঁটে বিপুল পরিমাণ গরু ছাগল হাটে নিয়ে আসা হয়। আর মাত্র ৭ দিন পর কোরবানির ঈদ। শেষ মুহূর্তে ক্রেতারা গরু ছাগল কিনতে ভিড় করেছে। মূলত গবাদি পশুর পাইকারি ব্যবসায়ীরাই কিনছেন বেশি। পাশাপাশি কোরবানির জন্য বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন গরু ছাগল কিনতে ওই হাটে ভিড় করে।
গরু ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম, ভিক্ষু মিয়া, আব্দুল মান্নান, আব্দুর রশিদ, লালু মোল্লা, ঠান্ডা মিয়া, শাহজাহান আলী জানান, এবার তুলনামূলক হারে গরুর দাম কম। উপজেলার গরুর খামারি ও ব্যাপারীরা কোরবানির মৌসুমকে লক্ষ্য করে এ খাতে ভালোই টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
উপজেলার করমজা, বালুয়াহাট ও পাকুল্যা হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ওই সকল হাটেও বিক্রেতারা প্রচুর গরু ছাগল এনেছেন। বিক্রি হচ্ছে বেশ ভালো। তবে দেশি জাতের গরুর চাহিদা বেশি বলে জানান বিক্রেতারা।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার মহেশ পাড়া এলাকার গরু ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ও গরু বিক্রেতা শামছুল হক (৪০) জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে এবারের গরুর দাম তুলনামূলক কম।
সৈয়দ আহম্মদ কলেজ হাটে আসা কোরবানি ক্রেতারা জানান, হাটে প্রচুর গরু-ছাগল। তবে দাম কিছুটা কম। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিটি গরু ৫-১০ হাজার টাকা কমে কেনাবেচা হচ্ছে।
হাট কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মেজবাউল হক জুলু জানান, হাটে বেচা বিক্রি বেশ ভালো হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত